
পাবজি এবং ফ্রী ফায়ার বন্ধ হয়ে যাচ্ছে এই সকল গেমস নিয়ে কোরআন হাদিস কি বলে
আমার বাসা থেকে একটু দূরে রেল ক্রসিং এ লাইন ধরে বসে থেকে পাবজি খেলতে দেখি অনেককে, ট্রেন আসে হুইসেল কানে বাজে,তাও যেন তাদের কোন ভ্রুক্ষেপ নেই, অপেক্ষা করতে থাকে তিনি আরো কাছে আসা,আর 10 সেকেন্ড থাকলে ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যু ঘটবে ঠিক এমন সময় তারা ট্রেনের প্রতি খুব বিরক্তি নিয়ে সহিত একটু রেললাইন থেকে ছড়ায়,তখন কিন্তু এই যুবকের চোখ |
মোবাইল স্ক্রিনে থাকে,ট্রেন চলে যাবার পর,আবার যথারীতি রেললাইনে বসে সবান্ধবে গেম খেলে।
শুধু শহর না,এরকম বিপর্যয়ের আমি গ্রামে দেখেছি সন্ধ্যা হলেই বন্ধুরা মিলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে,
বাঁশঝাাড়ে চলে যায়,সেখানে বসে বসে মশার কামড় খায় আর উচ্চ স্বরে চিৎকার দিতে থাকে এই আমারে হেলদি হেলদি,অর্থাৎ আমাকে সুস্থ করে তোল,না না যে মশা কামড়াচ্ছে সেই অসুস্থতা থেকে সুস্থতা চাইছে না,বাঁশঝাাড়ে বসে মশার কামড় খাচ্ছি সেটার কোনো হিলিং এর প্রয়োজন নেই।
কিন্তু কে বেগড়ী খেয়েছে,সেটার হীন লাগবেই লাগবে,আমার বিশ্বাস বিগত কয়েক বছরে এরকম বহু চিত্র আপনারাও দেখেছেন, এভাবে প্রতিনিয়ত তরুণ প্রজন্ম প্রযুক্তির অপব্যবহার করে বিপথগামী হচ্ছে,তাদের মেধা জ্ঞান সময় সব কিছুর অপব্যয় হচ্ছে,এই গেম গুলো খেলে।
পারিবারিক শান্তি বিনষ্টের পেছনেও গেমগুলোকে দায়ী করছেন অনেকে,কেউ বাবা-মাকে চাপ দিচ্ছে আরো ভালো মোবাইল কিনে দেয়ার জন্য,কেউ সারাদিন মোবাইল ছেড়ে এক মিনিটের জন্য উঠছে না,এমনকি বাবা-মায়ের থেকে টাকা চুরি করেও গেমের পেছনে খরচ করে কেউ কেউ।
এখানেই সীমাবদ্ধ নয়,কদিন আগে পত্রিকায় এসেছে মায়ের কাছে 50 টাকা মোবাইল না পেয়ে কোনো একজন স্কুলছাত্র আত্মহত্যা করেছে,পরে জানা গেল পাবজি গেম খেলার জন্য অবশ্যই 50 টাকা মোবাইল লোড চেয়েছিল। এই গেমসের উন্মাদ নেশা কিশোরদের পাগল করে তুলছে,তারা নেশাগ্রস্ত বিকারগ্রস্ত উন্মাদ হয়ে যাচ্ছে।
আর তা না হলে,বাবার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে তার চিকিৎসার 16 লাখ টাকা নিয়ে,পাবজি ইউসি কিন্ত না কোনো যুবক,আদর করে শাসন করে ভালোমতো বুঝিয়ে এমনকি কাউন্সেলিং করিয়েও,এই গেমের নেশা থেকে বের করা যাচ্ছে না অনেকে,এমন পরিস্থিতিতে এই টিমগুলো নিষিদ্ধ করা একান্ত প্রয়োজনীয় হয়েছিল।
ইসলাম ধর্ম নেশাগ্রস্থ হয়ে এভাবে সারাদিন নামাজ কালাম পড়া শুনা বাবা মায়ের খেদমত বাদ দিয়ে গেম খেলা কখনোই সমর্থন করেনা,গেমের প্রতি দ্বীনের প্রতি এ ধরনের আসক্তির এবং গেম খেলতে গিয়ে এভাবে সময় অপচয় করাটা ইসলামসম্মত নয়,ইসলামী সময়ের গুরুত্বপূর্ণ তাৎপর্য রয়েছে সেই সময় এভাবে ও প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে অপচয় করা টা অবশ্যই ইসলাম পরিপন্থী।আর এ কারণেই 2019 সালে ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশে ওলামা কাউন্সিল,পাবজি গেম টি কে হারাম বলে ফতোয়া জারি করেছে,এছাড়াও কুর্দিস্তান ইউনিয়ন অফ স্কলার্স,এরফান রাশেদ নামক একজন ইমাম বলেছেন,মোবাইল ফোনে গেম খেলার কারণেই এটি একজন মানুষের দৃষ্টি শক্তি দুর্বল করে,এটি শরীরের জন্য ক্ষতিকর।
মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,শরীরের একটি অধিকার আছে এবং এর যত্ন করতে হবে,সেই দৃষ্টিকোণ থেকে বলাই বাহুল্য যে,দেশের তরুণ প্রজন্মের বর্তমান অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে তো বটেই,ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকেও পাবজি এবং ফ্রী ফায়ার নামক দুটি গেম,ইসলাম ধর্মের পরিপূর্ণরূপে হারাম।
মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন পবিত্র কুরআনে বলেছেন।ওয়ারলেস ইন্নাল ইনসানা লাফি।
সময়ের শপথ মানুষ ক্ষতির মধ্যে আছে নিঃসন্দেহে,পাবজি এবং ফ্রী ফায়ার এ জুটিকে আমাদের তরুণ প্রজন্মকে ক্ষতির মধ্যে নিক্ষেপ করেছে,হে আল্লাহ আপনি এই জাতির তরুণ প্রজন্মকে
এ ধরনের ফেতনার হাত থেকে রক্ষা করুন।
মনে রাখবেন আমরা শুধু গল্প শোনাচ্ছি না আলোর পথ দেখাচ্ছে শেয়ার করার মানে হচ্ছে আপনিও আলোর পথ দেখাচ্ছেন।
0 Comments: